সম্পর্কে

স্মার্ট বিজ পোর্টাল সম্পর্কে: 

 

স্মার্ট বিজ (Smart Biz):

 

বাংলাদেশ সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ এর একটি উদ্যোগ হলো স্মার্ট বিজ পোর্টাল যা বাংলাদেশের জনগণকে জনশক্তিতে রূপান্তর করার জন্য কাজ করছে। মূলত, স্মার্ট বিজ পোর্টাল হলো একটি গভর্নমেন্ট টু বিজনেস সেবা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সরকারী দপ্তর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এবং উদ্যোক্তাদের জন্য উন্নত সেবা ও দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ব্যবসা সংক্রান্ত সকল সরকারি সেবা সহজলভ্য করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

 

স্মার্ট বিজ পোর্টাল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সব ধরণের উদ্যোক্তাগণ সরকারি দপ্তর হতে প্রদেয় ব্যবসায়ী সেবাসমূহ গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়াও, ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাদি এ প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যবসায়ীগণ নিতে পারবে। বাংলাদেশের সকল ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করে তাদেরকে একক ব্যবসা পরিচিতি প্রদানের লক্ষ্যে ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিটি নম্বর প্রদানের কার্যক্রম চলমান আছে। ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিটি নম্বর ব্যবসায়ীগণকে সকল ব্যবসা সেবা সহজে প্রাপ্তি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণ, ব্যাংকিং ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে স্মার্ট বিজ পোর্টাল কাজ করবে। এছাড়াও ক্ষুদ্র ঋণ প্রাপ্তি ও অভিযোগ প্রতিকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইউবিআাইডি উদ্যোগ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সরকারি সকল ব্যবসা সেবার একক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্মার্ট বিজ প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছে। 

 

গভর্নমেন্ট টু বিজনেস সেবা প্রদানের সাথে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত Ease of Doing Business রিপোর্ট ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২০, ২০১১ ও ২০১৮ সালে যথাক্রমে ১৭৭, ১৭৬ ও ১৬৮। G2B সেবার মান ও Ease of Doing Business রিপোর্টে প্রকাশিত র্যাংকিং অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ব্যবসা ও বিনিয়োগের বিকাশ করেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (FDI) কে প্রভাবিত করে। উন্নত ব্যাংকিং এর দেশ বা অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ অধিক পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ পেয়ে থাকে, তাই বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণের জীবনমান দ্রুত উন্নয়নের স্বার্থে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নকল্পে বিনিয়োগকারীগণ কে তাদের প্রস্তাবিত কোন প্রকল্প বা উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন সেবা, সুবিধা, প্রণোদনা, লাইসেন্স, অনুমতি, ছাড়পত্র বা পারমিট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রদান নিশ্চিতকরণর লক্ষ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছেন।

 

ব্যবসায়িক পরিষেবার অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে ও জাতীয় স্বার্থে স্মার্ট বিজ সেবাসমূহকে পৃথকভাবে, কার্যকর, ব্যবসাবান্ধব ও গ্রাহকবান্ধব এবং সহজীকরণের মাধ্যমে ডিজিটাইজ করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে স্মার্ট বিজ টিম কাজ করছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গভর্নমেন্ট টু বিজনেস পরিষেবাগুলিকে চিহ্নিত করে পরিষেবার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ উদ্যোগের আওতায় ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ২০০৯টি ব্যবসায়িক সেবা প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি ৫৪ টি মন্ত্রণালয়/দপ্তরের ৫৬টি সেবা সহজীকরণ করা হয়েছে।

 

স্মার্ট বিজ পোর্টালে কী কী পাওয়া যাবে?

 

১। ব্যবসা সংক্রান্ত মহণালয়/ দপ্তরের নাম, সেবার নাম ও ডিজিটাইজড সেবার তালিকা ও সরাসরি এক্সেস

 

২। ব্যবসা সংক্রান্ত সরকারি সেবাসমূহ এক ঠিকানায়

 

৩। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন উদ্যোক্তা/ব্যক্তির উপযোগী স্মার্ট বিজ সেবা প্ল্যাটফর্ম

 

৪। ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়া

 

৫। ব্যবসায় রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

 

৬। ব্যাংকিং ও ঋণ সংক্রান্ত তথ্যাদি

 

৭। ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিপত্র, আইন ও নীতিমালা

 

৮। বাংলাদেশে ব্যবসা খাতের গুরুত্বপূর্ণ ও হালনাগাদ তথ্য 

 

৯। ব্যবসায় সংক্রান্ত একটি নলেজ হাব

 

১০। বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি টুলস (ভ্যাট ক্যালকুলেটর, ট্যাক্স ক্যালকুলেটর প্রভৃতি)

 

১১। সফল ব্যবসায়ীদের সফলতার প্রতিবেদন/ গল্প

 

১২। খাতভিত্তিক ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য ও সার্কুলার প্রভৃতি

 

স্মার্ট বিজ পোর্টাল এর অভীষ্ট:

 

উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট বিজ সেবার মানোন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসা অনুকূল পরিবেশে সরকারি পরিষেবা নিশ্চিতকরণ এই পোর্টাল এর মূল অভীষ্ট। এছাড়াও -

 

১। বাংলাদেশে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশের উন্নতি সাধন। 

 

২। ব্যবসায়িক পরিষেবাসমূহ সহজীকরণ এবং ডিজিটাইজেশন।

 

৩। সরকারি দপ্তর হতে প্রদেয় সেবাসমূহকে কার্যকরভাবে গ্রাহকবান্ধব সেবায় রূপান্তর।

 

৪। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রদত্ত স্মার্ট বিজ পরিষেবাগুলিকে একীভূত প্লাটফর্ম হতে গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি।

 

৫। নানামুখী উদ্যোগের মাধ্যমে স্মার্ট বিজ সেবার অংশীদারদের মাধ্যমে সমন্বয় সাধন।

 

৬। বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বাণিজ্যের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক হাব (Business Hub) এ প্রতিষ্ঠা।