হোম > ইন ফোকাস

News related to economic development and policy changes/extensions

অর্থনৈতিক উন্নতি শীর্ষক খবরঃ

 

বৈশ্বিক মন্দার মাঝেও বাংলাদেশের বৈদেশিক পুনঃ বিনিয়োগ বৃদ্ধি

২০২২ সালে সমগ্র বিশ্বে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমলেও বাংলাদেশে বৈদেশিক পুনঃবিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি, জ্বালানী বাজারে অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি বিষয়গুলোকে বিশ্ববাজারে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ কমার মূল কারণসমূহ হিসেবে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাঝে বাংলাদেশ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে এগিয়ে আছে।

দেশে সর্বশেষ ১৯৯০ সালের পর সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২২ সালে, যা ২,৬৫৯.২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমানের।(তথ্যসূত্রঃ জাতীয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩)

 

 

তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক। *২০২২ জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত*

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট বিদেশি বিনিয়োগের মাঝে সবচেয়ে বড় অংশই ছিল পুনঃবিনিয়োগ(১৮৭২.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এরপর  রয়েছে সমমূলধন(৭৫২.৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং আন্তঃকোম্পানি ঋণ(৩৩.৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। 

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মোট প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহ ক্রমাগত বর্ধনশীল। এই ধারা বিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে এবং বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশকে নির্দেশ করে। 

বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্টে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ জাপানের

বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত মেগা প্রজেক্টে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রাজধানীর প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াশুতোশি নিশিমুরার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। এর আগে জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থা জেট্রোর আয়োজনে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক রিলেশনস ফর নেক্সট ফিফটি ইয়ার্স : ফর দ্য ইন্ডাস্ট্রি আপগ্রেডেশন অব বাংলাদেশ শীর্ষক সামিটে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াশুতোশি নিশিমুরা, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জেট্রোর প্রেসিডেন্ট কাজুশিগে নবুতানি। এছাড়া সমাপনী অধিবেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেট্রোর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, চট্টগ্রাম চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। 

 

চিত্রঃ বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী ও জাপানের  অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াশুতোশি নিশিমুরা

সাম্প্রতিক বছরে জাপান কর্তৃক বাংলাদেশে দেয়া ওডিএ ঋণের পরিমাণ ৩০০ বিলিয়ন ইয়েনে পৌঁছে গেছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশে জাপানের ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত বছরের, ৩০০-এর বেশি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে এসেছে।

তথ্যসূত্রঃ   *mincom.gov.bd*

নীতি পরিবর্তন/পরিবর্ধন সম্পর্কিত খবরঃ

ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি ২০২৩ অনুমোদন

'ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি-২০২৩’ গত ১৭ জুলাই মন্ত্রীসভা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। মন্ত্রীসভার তত্ত্বাবধানে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ এই পলিসির খসড়া প্রস্তুত করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই আমদানি/রপ্তানি শুল্ক, বানিজ্য উদারীকরণ এবং ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণ একটি কেন্দ্রীয় নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছিল। যার আলোকে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে গঠিত ট্যারিফ কমিশন এ নীতিমালা প্রস্তুত ও প্রণয়ন বিষয়ে কাজ শুরু করে। সর্বশেষ ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ এ এই নীতিমালা বিষয়ে আলোচনা হয়। 

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ছবি: সময় সংবাদ

এই নীতিমালায় শুল্ক নির্ধারণে সর্বমোট ১৭টি নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। ইতোপূর্বে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিভিন্ন সময়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে শুল্ক ও কর রেয়াত নির্ধারণ করে থাকলেও এই প্রথম সরকারের পূর্ণাঙ্গ কোন নীতিমালা অনুমোদিত হল। যার সুবিধা দেশি বিদেশি ব্যাবসায়ীসহ সবাই কমবেশি ভোগ করবেন বলে ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা।

(*তথ্যসূত্রঃ বিজি প্রেস)


প্রত্যক্ষ কর ব্যয়’ প্রাক্কলন সম্পন্ন করলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

আন্তর্জাতিক উত্তম রাজস্ব চর্চার সাথে সঙ্গতি রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর বিভাগ বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মাঠ পর্যায়ের বাস্তব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে “প্রত্যক্ষ করব্যয়” প্রাক্কলন করেছে। এই সম্পূর্ণ প্রকল্প আয়কর বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত এবং নিষ্পন্ন হয়েছে।

২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের জন্য প্রযোজ্য উক্ত “প্রত্যক্ষ করব্যয়” এর মোট প্রাক্কলিত পরিমাণ ১,২৫,৮১৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে কর্পোরেট পর্যায়ে ৮৫,৩১৪ কোটি টাকা এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে ৪০,৪৯৯ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে, ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের জন্য এই “প্রত্যক্ষ কর ব্যয়” মোট জিডিপি এর ৩.৫৬%। ২০২৩-২০২৪ এর প্রক্ষেপিত মোট জিডিপি আকার বিবেচনায় নিয়ে চলমান অর্থবর্ষে প্রক্ষেপিত প্রত্যক্ষ করব্যয় এর মোট পরিমাণ হবে ১,৭৮, ২৪১ কোটি টাকা। এর সাথে প্রাক্কলিত ভর্তুকির পরিমাণ যোগ করলে মোট ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়ায় ২,৮৯,২২৮ কোটি টাকা। 

“প্রত্যক্ষ করব্যয়” ( Direct Tax Expenditure) বলতে রেয়াত, ছাড়, অব্যাহতি, হ্রাসকৃত হারে করারোপ এবং মোট করযোগ্য আয় পরিগণনা হতে আয় বাদ দেয়াকে বোঝায়। এটি এক ধরনের কর ভর্তুকি। অর্থাৎ এই ভর্তুকি যদি কর হিসেবে আহরিত হতো তাহলে মোট আহরিত করের সাথে এটি যুক্ত হতো এবং করের পরিমাণ বৃদ্ধি হতো। বর্তমানে প্রাক্কলিত প্রত্যক্ষ করব্যয় কাঠামো সবার জন্য কর নির্ধারণ প্রক্রিয়া সহজতর করবে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

তথ্যসূত্রঃ   *nbr.gov.bd* 

*mof.gov.bd*