হোম > আমার ব্যবসা

Expanding my business

আমার ব্যবসা সম্প্রসারণ

 

অধিকাংশ ব্যবসাই শুরু হয় মূলত ছোট আকারে। কিন্তু সব উদ্যোক্তাই স্বপ্ন দেখেন বড় হবার। অধিকাংশ ব্যবসায়ীর হাতেখড়ি বাণিজ্য বা ট্রেডিং দিয়ে। সেখানে সফল হলে উৎপাদনে আসেন। আবার কেউ সেবা খাতে যান। ব্যবসা শুরু করবার পর টিকে থাকাই সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি। আপনাকে ব্যবসা শুরু করা থেকে একটা টেক্সই আর্থিক অবস্থানে যেতেই একটা লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়। 

ব্যবসা টিকে যাবার পর আমরা সবাই চাই ব্যবসাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে। যা আমাদের ব্যবসার সম্প্রসারণ ও প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। ছোট আর বড় ব্যবসার পরিচালনা এক রকম নয়। ব্যবসা বড় করাতে হলে বাধাগুলো বুঝতে হবে। চিনতে হবে উদ্যোক্তা বা ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলো।

 

ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলঃ

 

মার্কেট সম্প্রসারনঃ

ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায়ে মার্কেট নির্বাচন, মার্কেট গবেষণা, এবং সে অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করে একজন উদ্যোক্তাকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হয়। মার্কেট বা বাজার পর্যালোচনা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি স্থাপনের পূর্বশর্ত। তবে একটি নির্দিষ্ট মার্কেটে সেবা পরিচালনার একটা পর্যায়ে যাবার পর আপনার ব্যবসার বৃদ্ধি মন্থন ঘটে। সেক্ষেত্রে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ মার্কেট সম্প্রসারণ। নতুন মার্কেট নিয়ে গবেষণা, পর্যালোচনার ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ আপনার ব্যবসাকে পরবর্তী ধাপে যেতে সাহায্য করবে।

 

যৌথ উদ্যোগ/জয়েন্ট ভেঞ্চারঃ

ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে মূলধন বা ক্যাপিটালের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সবাই অবহিত। কিন্তু নিজের একক উদ্যোগে যথাযথ প্রয়োজনীয় মূলধনের যোগান একটা বিশাল বড় সমস্যার স্ৃষ্টি করে। সেক্ষেত্রে আমরা যদি আমাডেড় বয়বশা সম্প্রসারণের কথা চিন্তা করি নতুন মূলধন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা যৌথ উদ্যোগ(জয়েন্ট ভেঞ্চার) ব্যবস্থাপনার কথা চিন্তা করতে পারি।

 

কৌশলগত অংশীদারিত্বঃ

আপনার ব্যবসার বন্ধু এবং সাহায্যকারীরা আপনার ব্যবসার বৃদ্ধি, প্রসারণ এবং রূপান্তর করতে সহায়তা করতে বহু ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে—এবং এখানেই কৌশলগত অংশীদারিত্ব ব্যাপকভাবে কার্যকর হয়।

কৌশলগত অংশীদারিত্ব হল দুই বা ততোধিক সমমনা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক যা সাধারণ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সমন্বয়ে কাজ করে। এই অংশীদারিত্বগুলি সাধারণত একে অপরের সংস্থান, দক্ষতা এবং জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন সুযোগ তৈরি করতে এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য গঠিত হয় যা একা অর্জন করতে পারে না।



 

ফ্র্যাঞ্চাইজিংঃ

একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানে, একটি ব্র্যান্ড অন্য ব্যক্তি বা সত্তাকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য তার নাম এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক মডেল ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।

আপনার ব্যবসা যদি একটা যথার্থ রকমের চাহিদার আয়জন করতে সক্ষম হয় সেক্ষেত্রে আপনি ফ্র্যাঞ্চাইজিং এর কথা চিন্তা করতে পারেন